চিংড়ির খাদ্য তৈরির জন্য কম মূল্যের উৎকৃষ্ট মানের খাদ্য উপকরণ এমনভাবে বেছে নিতে হবে যাতে এদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়, খাদ্যের মান বজায় থাকে এবং খাদ্য প্রয়োগ বাবদ পুঁজি বিনিয়োগ কম হয়। আমাদের দেশে প্রচলিত খাদ্য উপকরণ, যেমন- খৈল, কুঁড়া, গমের ভুষি, ফিসমিল, আটা, চিটাগুড় ইত্যাদি ব্যবহার করেই চিংড়ির পুষ্টি চাহিদা পূরণে সক্ষম এমন সম্পূরক খাদ্য তৈরি করা যেতে পারে। নিচে চাষির আর্থিক সামর্থ্য ও পুষ্টি চাহিদা বিবেচনা করে কার্প-চিংড়ি মিশ্রচাষের পুকুরে প্রয়োগের জন্য খাদ্য তৈরিতে উপকরণ ব্যবহারের নমুনা নিম্ন সারণীতে উল্লেখ করা হলো-
সারণি: মিশ্রচাষের জন্য তৈরিকৃত সম্পুরক খাদ্যে ব্যবহৃত বিভিন্ন খাদ্য উপকরণের অনুপাত
উপাদানের নাম | নমুনা-১ | নমুনা-২ | ||
---|---|---|---|---|
ব্যবহার মাত্রা (%) | গ্রাম/কেজি খাদ্য | ব্যবহার মাত্রা (%) | গ্রাম/কেজি খাদ্য | |
ফিসমিল | ৩০ | ৩০০ | ৩০ | ৩০০ |
সরিষার খৈল | ৪০ | ৪০০ | ৩০ | ৩০০ |
হাড়/ঝিনুকের গুঁড়া | - | - | ৫০ | ৫০ |
পলিস কুড়া/গমের ভুষি | ২০ | ২০০ | ২০ | ২০০ |
আটা | ৯ | ৯০ | ১০ | ১০০ |
চিটাগুড় | ১ | ১০ | ৫ | ৫০ |
খনিজ লবণ | - | ১ চা চামচ | - | ১ চা চামচ |
ভিটামিন প্রিমিক্স | - | ১ চা চামচ | - | ১ চা চামচ |
মোট | ১০০ | ১০০০ | ১০০ | ১০০০ |